নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে রাজধানীর খাল উদ্ধার ও পানিনিষ্কাশনের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ) কাছে ন্যস্ত করার প্রায় তিন বছর হতে চললেও উদ্ধারকাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি আশাপ্রদ। সব খাল অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে হুঙ্কার দিলেও শুধু ময়লা উত্তোলন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। শুধু ময়লা উত্তোলনেই আটকে আছে তারা। গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন খাল পরিদর্শনে গিয়েছেন দুই সিটি করপোরেশনের মেয়ররা। তারা যাওয়ার আগে দুই সিটির লোকজন ও স্থানীয় কাউন্সিলর সব পরিষ্কার করে রাখেন। তারা চলে গেলে আবার আগের মতোই ময়লার ভাঁগাড়ে পরিণত হয় খালগুলো।
আগে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার এবং প্রতিবছর এ খাতে তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছিল, বর্ষা মৌসুমে দেখা দিচ্ছিল জলাবদ্ধতা। এ অবস্থায় গত ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুই সিটি করপোরেশনের ওপর খাল উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর উদ্ধারের প্রথমদিকে টনকে টন আবর্জনা, বাসাবাড়ির খাট, সোফা ইত্যাদি উত্তোলন করে তারা। ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সব খাল উদ্ধার হবে। সেনাবাহিনীর সাহায্যও নেওয়া হবে। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এমন ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে গুলশান-বনানী এলাকায় খাল উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। কড়াইল বস্তির দখলে হারিয়ে যাওয়া খালের জায়গা উচ্ছেদ করে পুনরায় খনন করায় খাল এখন দৃশ্যমান। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) কড়াইল বস্তি দিয়ে বয়ে চলা গুলশান-বনানী লেকের খনন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন উত্তর সিটির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক না কেন জনগণের সহায়তায় জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী নগরীর প্রত্যেকটি খালই উদ্ধার করা হবে।
তিনি আবারও কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। তাই ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। এসময় ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমান ও ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছির উপস্থিত ছিলেন।